বৈজ্ঞানিক সত্যই কি পরম সত্য?

Published by SNNAFI on

 বর্তমান সময়ে আমরা যারা বিজ্ঞান চর্চা করি ,  তাদের অনেকেই   বিজ্ঞানকে পরম সত্য হিসেবে ভাবি। কিন্তু বিজ্ঞান সত্যের জায়গ্যা কতটুকু ? সত্য বলতে বিজ্ঞান কি বুঝায় ? বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করে ? 

আমরা চারপাশের প্রকৃতিকে দেখে,  অনুসন্ধান করে সর্বদাই জানতে চাই, বুঝার চেষ্টা করি, এসব কিভাবে এলো  ? কিভাবে কাজ করছে ? এই সূত্র গুলা কিভাবে কাজ করছে ? আমরা পর্যবেক্ষণ , হিসেব নিকেশ নানা ধরণের বিচিত্র পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে এই মহাবিশ্বকে আমাদের হাতের মুঠোয় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষ মাত্রই জ্ঞান পিপাসু , কৌতুহলপ্রিয় আচ্ছা, আমাদের কি জানা আছে ? এই মহাবিশ্ব ঠিক কতটা বড় ? এই কতটুকু আমরা জানার চেষ্টা করতে পেরেছি ? কতটুকু সম্বন্ধেই আমরা বা জানতে পেরেছে বলে ধারণা করি ? 

এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা মজার তথ্য দিয়েছেন । আমরা এই মহাবিশ্বের যতটুকু এই পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছি সেটা হল ৮.৮ * ১০^২৬ মিটার বা ৮৮০ ইয়টা মিটার ।একে হাবল ভলিউমও বলে। তাহলে, মহাবিশ্ব কতটা বড়? বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন সেটা হাবল ভলিউমের থেকে কমপক্ষে ২৫০ গুন বড় হবেই [১] । 

এটা তো গেলো , মহাবিশ্ব কতটা বড় হতে পারে এর কতটাই আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছি এখন আশা যাক, আমরা এই যে  ৮৮০ ইয়টা মিটার পর্যবেক্ষণ করলাম এর কতভাগ আমরা বুঝতে পেরেছি ? কি আছে এর মধ্যে ?

আমরা আমাদের পর্যবেক্ষণ দ্বারা যা বুঝেছি সেটা হল, এর মাত্র . % আমরা দেখতে পারি। বাকি ২৬. % ডার্ক ম্যাটার , ৬৮. %  ডার্ক এনার্জি এসব সম্বন্ধে আমাদের কোন ধারণা নেই ! আমাদের যত কাজ কারবার সব এই . % ঘিরেই। আচ্ছা আমরা আমাদের আগের জায়গায় ফিরে চলি মহাবিশ্ব নিয়ে পরে বিস্তারিত কথা বলে যাবে 

তো আমরা বলছিলাম, আমরা পর্যবেক্ষণ , হিসেব নিকেশ নানা ধরণের বিচিত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা মাধ্যমে এই মহাবিশ্ব সম্বন্ধে জানতে চেষ্টা করি আচ্ছা , আমরা কি একটি বার ভেবে দেখেছি আমাদের পর্যবেক্ষণ কি ১০০% ঠিক ? বা আমরা যে পর্যবেক্ষণ করি এটাই কি মাত্র পর্যবেক্ষণ ? এর কি অন্য কোন মিনিং থাকতে পারে না ?

 

 

আমরা যারা এতক্ষণে ছবিটা দেখেছি , তারা হয়ত বুঝতে পেরেছি, একটা একক  ইনফরমেশন / পর্যবেক্ষণ বিজ্ঞানের অনেক লেভেলে এর মিনিং এর সমস্যা  প্রকাশ করতে পারে। আমরা কি কখনো আমাদের ভিউপয়েন্ট / ডাইমেনশনের ঊর্ধ্বে যেতে পারব ? সম্ভব এটা ? না আসলে বিজ্ঞানে এটা এক প্রকার  অসম্ভব বলা চলে , যে আমাদের একটা পর্যবেক্ষণের আসল মিনিং জানতে পারব যেটা কারোর ভিউপয়েন্ট থেকে স্বাধীন । মজার বিষয় বিজ্ঞানের ফিলোসফি সম্বন্ধে যারা জানে এবং বেশিরভাগ  একাডেমীক বিজ্ঞানী এই বিষয়ে সচেতন । সেই জন্যই তারা instrumentalism বা anti-realism ভিউপয়েন্ট  ধারণ করেন ।[২] অনেকেই হয়ত বুঝছি না / আমি হয়ত বুঝাতে পারছি না।আরেকটু গভীরে যাওয়া যাক তাহলে ! 

বিজ্ঞানীরা “ বৈজ্ঞানিক সত্য”  বলতে কি বুঝায় ? আমরা যে সাধারণত যা যা ভাবি সেটাই ? নাকি “ বৈজ্ঞানিক সত্য” এর আলাদা মিনিং আছে ? অবশ্যই !!

একটা সহজ উদাহরণ দেয়া যাক। বলা যাক , পৃথিবী গোল । এখন আপনি যদি বিজ্ঞানী না হন বা ফ্ল্যাট আর্থার না হয়ে থাকেন , আপনি ভাবতে পারেন, এটাই  মনে হয় পরম সত্য যে পৃথিবী গোল । মূলত ,  পৃথিবী গোল এটা বৈজ্ঞানিক স্বীকৃত এবং বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্ট যদি, ফ্ল্যাট পৃথিবীর সাথে তুলনা করা যায় ।কিন্তু সবসময় কিছু সমস্যা রয়ে যায় । আমরা যদি ব্যাস হিসেব করতে যাই দেখা যাবে ৭৯০০ মাইল আসে আবার আরেকভাবে ৭৯২৬ মাইল । আসলে পৃথিবী সম্পূর্ণ গোলাকার নয় বরং গোলাকারের কাছাকাছি ।এটা  “ বৈজ্ঞানিক সত্য” যে সমস্যা সৃষ্টি করে তার চমৎকার উদাহরণ। এখন পৃথিবীকে গোলাকার বলা অবশ্যই অধিক সত্য , এটাকে ডিস্ক বা বৃত্ত বলার চেয়ে। কিন্তু পৃথিবী কি আসলেই গোলাকার ? এর চেয়ে আর ভালভাবে বললে বলা যায় অবলেট সেপহেরয়েড (oblate spheroid )। কিন্তু এটা পরম সত্য না ! পৃথিবীতে যেমন এভারেস্টের মতো ৮ কিমি মতো উঁচু  শৃঙ্গ আছে তেমনি মারিয়ানা ট্রাঞ্চের মতো গভীরতা আছে। পাহাড় , সমুদ্র , আগ্নেয়গিরি আছে। মানে, আমাদের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আর নিখুঁত রেজাল্ট পাচ্ছি। এ থেকে আসলে বুঝা যায়, আমরা সাধারণ কথাবার্তা যেভাবে বলি বৈজ্ঞানিক চিন্তা ভাবনায় এর সাথে পার্থক্য আছে । যেমনঃ১। বিজ্ঞানের কোন প্রকার পরম সত্য নাই !  বরং সত্যের কাছাকাছি এমন কিছু অর্থাৎ গড়পড়তা সত্য 

২। কোন  বৈজ্ঞানিক মতামত, থিউরি সত্য না মিথ্যা নির্ভর করে কত নিখুঁতভাবে সেটা  হিসেব নিকেশ / পরীক্ষা  করা হয়েছে বা পর্যবেক্ষণের ফ্যাক্টরের উপর 

৩। প্রত্যেক বৈজ্ঞানিক থিউরির একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত যৌক্তিকতা আছে । এই সীমার ভিতরে এটাকে সত্য থেকে আলাদাভাবে দেখা যায় না । কিন্তু  এই সীমার বাহিরে গেলে  এর কোন সত্যতা থাকে না !

এটা আসলে খুব বড় একটা পার্থক্য গড়ে দেয় আমরা কিভাবে চিন্তা করি  ফ্যাক্ট  – ফিকশান,  সত্য  – মিথ্যা নিয়ে। এমনকি কোনটা ঠিক বা কোনটা ভুল । আরেকটু খোলসা করা যাক তাহলে । 

যেমন ধরা যাক, একজন ফ্ল্যাট আর্থার বেলুনে চড়ে দেখত চাইল যে আসলেই পৃথিবী কি গোলাকার নাকি ? কিন্তু , ঈগলের ঠোকড়ে বেলুন গেল ফুটো হয়ে । এখন কি হবে  ? সে পড়তে থাকবে মুক্ত অবস্থায় । অবশ্য সে প্যারাসুট নিয়ে গেসিল । কিন্তু সে চাইলো  মুক্তভাবে পড়লে কেমন লাগে দেখতে। আচ্ছা সে প্যারাসুট খোলার আগেই আমরা তার মুক্তভাবে পড়া নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ করে ফেলি। প্যারাসুট খুললে আর করা যাবে না ! 

যদি আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা করি কি ঘটছে । তাহলে বলা যায় , সে ৯.৮ মিটার পার সেকেন্ড^২  ত্বরণে নেমে আসছে নিচের দিকে । এবং বলা যায় এটা মোটামোটিভাবে সত্য। পরম নয় । যদি, আমরা তাকে ভিন্ন ভিন্ন কেইসে পর্যবেক্ষণ করি দেখা যাবে তার ত্বরণের পরিবর্তন  ৯.৭৯ থেকে ৯.৮৩ পর্যন্ত যাচ্ছে । এই যা , প্যারাসুট খোলে দিল। এখন কি হবে ? এই যে আরেকজনকে দেখা যাচ্ছে মহাশূন্যে থেকে লাফ দিচ্ছেন । তাহলে  প্যারাসুট খুলার আগে আমরা আমাদের পর্যবেক্ষণ শেষ করি ফেলি। এইবার আর দেরি করা যাবে না ।যখন উনি লাফ দিচ্ছে কোন মহাকাশ স্টেশন থেকে, তখন সেখানে ত্বরণ আর অনেক কম । সেখানে অভিকর্ষ শক্তি তুলামূলক কম , ফলে ত্বরণ কম  হবে । এখন যদি, আমরা পৃথিবীর বাইরে চলে যাই, তাহলে আমাদের আরো জেনেরাল রুলে যেতে হবে । নিউটনের ল অফ ইউনিভারসাল গ্রাভিটির মাধ্যমে কেবল  কেবল পৃথিবীতে গ্রাভিটির রহস্য উন্মোচিত হয় নি বরং এর মাধ্যমে গ্রহ, উপগ্রহ , উল্কাসহ সোলার সিস্টেমের কমেটের ও অরবিটাল গতি সম্বন্ধে জানা যায় । এমনকি আমাদের ওজন কোন গ্রহে কেমন হতে পারে তা বলা যায় । এছাড়া, গ্যালাক্সির ভিতরে নক্ষত্রগুলো কিভাবে ভ্রমণ করে । এমনকি আমরা এসব হিসেব নিকেশ ।  অনুমান করে চাঁদে রকটে করে মানুষও পাঠিয়ে দিয়েছি ! 

বাট , নিউটনের ল কি পরম সত্য ? না । এরও লিমিট আছে । আচ্ছা মনে আছে , আমাদের  ফ্ল্যাট আর্থারের কথা । সে এখন জানে পৃথিবী ফ্ল্যাট না। তো সে ঠিক করল , সে মহাকাশে ভ্রমণে যাবে। সে ল অফ নিউটন দিয়ে অনেক হিসেব নিকেশ করে একটা রকেট বানাল  এবং যাত্রা শুরু করল । এবং একটা সময় একটা খুবই বড় রকমের নক্ষত্রের কাছাকাছি চলে আসল এবং তার হিসেব নিকেশ ফেইল করল । তার জন্য সমবেদনা । এইবার প্যারাসুটে কাজে দিবে না ! 

আসলে  যখন কেউ আলোর বেগের কাছাকাছি বেগে যেতে চায়, বা কোন অধিক ভর বিশিষ্ট কোন কিছু কাছে আসে বা কসমিক স্কেলে কি ঘটছে জানতে চায় তখন নিউটন আমাদের কোন সাহায্য করতে পারবেন না ! তখন আমাদের আইনস্টাইনের জেনেরেল রিলেটিভিটিতে যেতে হবে । 

যখন কোন কণা আলোর বেগে /  কাছাকাছি বেগে ছুটে , যখন গ্রাভিটাশানাল ব্যান্ডের ব্যাখ্যা দেয়া হয় খুবই বড় ভরের মাধ্যমে যেমন সূর্য , কিংবা মার্কারির অরবিট খুব নিখুঁতভাবে হিসেব করতে হবে এমন পরিস্তিতি তখন যেখানে ল অফ নিউটন ফেইল করে সেখানেই আইনস্টাইনের জেনেরাল রিলেটিভিটির কারিশমা দেখা যায় । 

এই পর্যন্ত, যতগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে , গ্রাভিটাশানাল ওয়েভ থেকে শুরু করে ফ্রেম ড্রাগিং পর্যন্ত জেনারেল রিলেটিভিটি ভালভাবে পাশ করে গেছে । কিন্তু এই জন্য কি আমরা জেনেরাল রিলেটিভিটি কে  “ বৈজ্ঞানিক সত্য “ হিসেবে ধরে নিতে পারি ?কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এখন পরীক্ষা করা হয় নাই, এবং করলেও যে তুলনামূলক নিখুঁত ফলাফল আসবে সেটাও বলা যায় না ! কিন্তু যখন আমরা খুব ছোট বিষয় নিয়ে চিন্তা করব , আবার কোয়ান্টাম ইফেক্ট নিয়েও ভাববো তখন কিছু প্রশ্ন মাথায় আসবে । [৩] যেমনঃ  ১। কি ঘটবে যদি একটা ইলেকট্রনের গ্রাভিটাশানাল ফিল্ডে যদি সেটা ডাবল স্লিটের ভিতর দিয়ে যায়  ? 

২।যেসব পার্টিকেল  ব্ল্যাকহল তৈরি করেছিলো তখন তাদের ইনফরমেশানের কি ঘটবে যখন ব্ল্যাকহল শেষ পর্যায়ে ডিকে করবে থার্মাল রেডিয়েশনে  ? 

বিস্তারিত [৩] নাম্বার টিকা দেখা যেতে পারেতো এইসব ক্ষেত্রে আমাদের আর এডভান্স কিছু দরকার কোয়ান্টাম গ্রাভিটাশানাল থিউরি টাইপ কিছু 

তো আমরা বুঝতে পারলাম ,  পৃথিবী ৯.৮ মিটার / সেকেন্ড^২ ত্বরণ সার্বিকভাবে হলেও ভিন্ন ভিন্ন পর্যবেক্ষণে কিছু পার্থক্য দেখা যায় । ল অফ নিউটন এই সব বিষয়ের পাশাপাশি আর কিছু বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে পারলেও আমাদের পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা আমাদের এমন  দিকে নিয়ে যায় যেখানে দেখা যায় ল অফ নিউটন কাজ করে না  ।ল অফ নিউটনকে জেনারাল রিলেটিভিটি দিয়ে রিপ্লেস করলে একই ফলাফল আসে । (এখানে কিছু মানুষ ভাববে ল অফ নিউটন ভুল বুঝিয়েছি। বরং, এটাও সঠিক, কিন্তু একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে। আর বাইরে এটা কাজ করবে না  , যা উপরের ৩ নাম্বার পয়েন্টকে জাস্টিফাই করছে  )  জেনেরাল রিলেটিভিটি ল অফ নিউটনের সব কিছু ব্যাখ্যা করতে পারে প্লাস আরো কিছু ক্ষেত্রে ।  এর কিছু যখন আইনস্টাইন  জেনেরাল রিলেটিভিটির ধারণা দিচ্ছিলেন তখন  কিছু বিষয় প্রমাণিত ছিল, কিছু তখন প্রমাণিত না । আস্তে আস্তে অনেক কিছুই প্রমাণিত হয়েছে ।কিন্তু এটাও ঘটতে পারে যে , এক সময় আইনস্টাইনের  জেনেরাল রিলেটিভিটির বদলের নতুন কিছু আসবে এবং যখন এটা ঘটবে তখন আবার একই ভাবে ঘটবে ।বিজ্ঞান  ইউনিভার্সের পরম সত্যের খুঁজে কাজ করে না । আমরা যেভাবেই জানার চেষ্টা করি না  কেন , এই ইউনিভার্সের মৌলিক বাস্তবতা সম্বন্ধে , হোক সেটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরমাণুর চেয়ে ক্ষুদ্র স্কেলে বা  বৃহৎ কসমিক স্কেলে , কিংবা এর বাইরের কিছু , বিজ্ঞান কখনো পরম সত্যের সন্ধান দিতে পারবে না ।আমাদের সকল বৈজ্ঞানিক সত্যতা provisional [৫] এবং এটা আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে এগুলা আসলে একেকটা মডেল বা বাস্তবতার অনুমান সদৃশ । 

এমন সবচেয়ে সফল থিউরিগুলো (একটা প্রমাণ উপরে দেয়ার চেষ্টা করেছি ) তাদের নিজস্বতায়, একটা নির্দিষ্ট গণ্ডি পর্যন্ত যৌক্তিকতা ধরে রাখে ।আমরা চাইলে নতুন থিউরি তৈরি করতে পারব যখন সেটা – 

১। এটা পূর্বের থিউরির সকল কিছু ব্যাখ্যা করতে পেরেছে ২।পূর্বের থিউরির যেখানে ফেইল করে সেখানে সেটা ব্যাখ্যা দিতে পারে ৩। এটা ভালো অনুমান করতে পারে,  hitherto unmeasured phenomena এর ক্ষেত্রে , পূর্বের থিউরি থেকে ভিন্নভাবে , যেটা নিখুঁতভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা পর্যবেক্ষণ  করা হয়েছে । 

তখন এটা পূর্বের থিউরিকে রিপ্লেস করে দিবে আমাদের বৈজ্ঞানিক সত্যের নতুন অনুমান সদৃশ মডেল হিসেবে। 

বর্তমানে যেগুলোকে  নিউতিনের  সত্য হিসেবে ধরা হয়, এলিমেন্টর‍লি পার্টিকেলের স্ট্যান্ডার্ড মডেল থেকে শুরু করে , বিং ব্যাং, কসমিক ইনফ্লাশন , ডার্ক ম্যাটার ,  ডার্ক এনার্জি  সবকিছুই অনুমান , ভবিষ্যতে পরিবর্তিত হতে । নতুন থিউরি আসতে পারে। এগুলো খুবই নিখুঁতভাবে ইউনিভার্সকে ব্যাখ্যা করতে পারছে নিজেদের গণ্ডির ভিতরে , যেখানে পূর্বেরগুলা ফেইল করেছিলো। তারপরেও এদের লিমিটেশান আছে । যখন সেগুলা আর ব্যাখ্যা দিতে পারবে না  অর্থাৎ, সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না বা তাদের অনুমান গ্রহণযোগ্যতা হারাবে , তখন আমাদের আর গবেষণা করে নতুন কিছুর সন্ধানের যেতে হবে । এগুলো পরম সত্য নয় , বরং অনুমান সদৃশ মডেল, যেকোনো সময় পরিবর্তিত হতে পারে । 

কোন পরীক্ষাই প্রমাণ করতে পারবে না যে একটা বৈজ্ঞানিক থিউরি সত্য। বরং, পরীক্ষা মাধ্যমে ঐ থিউরি ইমপ্লিমেন্টের ক্ষেত্র বাড়বে বা যৌক্তিকতা কমবে,  নতুন থিউরি আসবে । এখানে,  ইমপ্লিমেন্টের ক্ষেত্র  দুই ভাবে বাড়তে পারে। হয়, আগের  থিউরির  ইমপ্লিমেন্টের ক্ষেত্র বাড়বে বয়া নতুন যে থিউরির আসবে সেটা দিয়ে আর বেশি ক্ষেত্রে  ইমপ্লিমেন্ট করা যাবে ।   কোন থিউরির ফেইল করার মাধ্যমে আসলে বিজ্ঞানেরই লাভ। একটা নতুন সুযোগ আসবে আমাদের এই  ইউনিভার্সকে আর ভালভাবে ব্যাখ্যা করার যেটা সত্যতার আরও কাছাকাছি যাবে ।

[১] https://www.technologyreview. com/2011/02/01/197279/cosmos-at-least-250x-bigger-than-visible-universe-say-cosmologists/

[২] https://en.wikipedia. org/wiki/Instrumentalism

[৩] https://www.forbes. com/sites/startswithabang/2017/10/04/are-space-time-and-gravity-all-just-illusions/?sh=5cc9435041cf

[৪] https://www.forbes. com/sites/startswithabang/2019/07/13/ask-ethan-what-does-truth-mean-to-a-scientist/?sh=71f946d77820

[৫] provisional – এটার ভাল কোন বাংলা শব্দ পাই নাই। এটা দ্বারা অস্থায়ী, এখন আছে পরে পরিবর্তন হতে পারে এমন টাইপ অর্থ দেয়

Categories: Uncategorized

0 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.